ইনসাইড বাংলাদেশ

যেসব বিষয়ে বিচ্ছিন্নতা বাড়ছে সরকারের 

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭:৫৯ পিএম, ০৮ এপ্রিল, ২০২১


Thumbnail

টানা ১২ বছরের বেশি সময় দেশ পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। ১২  বছরের পর এসে বিভিন্ন ইস্যুতে আওয়ামী লীগের মধ্যে চাপ বাড়ছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নিজেই সম্প্রতি বলেছেন যে, সরকারের সামনে এখন দুটি চ্যালেঞ্জ। একটি হলো করোনা মোকাবেলা, অন্যটি হলো ধর্মান্ধ মৌলবাদী শক্তির উত্থান ঠেকানো। গতকাল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হেফাজতের উদ্দেশ্যে কঠোর সতর্কবার্তা ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন যে, হেফাজত সীমালংঘন করেছে। আর তার এই বক্তব্যগুলো বিশ্লেষণ করলে সুস্পষ্টভাবে বোঝা যায় যে সরকারের এখন সামনে প্রধান দুটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। একটি হলো করোনা মোকাবেলা, অন্যটি হলো মৌলবাদী ধর্মান্ধ সাম্প্রদায়িক শক্তিকে মোকাবেলা করা। আর এটি করতে গিয়ে সরকার তার চিন্তা-ভাবনা, পক্ষের এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদেরকে একীভূত করবে, একত্রিত করবে এবং সকলকে নিয়ে সম্মিলিতভাবে সমস্যার মোকাবেলা করবে, সেই উদ্যোগে যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে বলেই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বরং সরকার এই সংকটগুলো নিরসনের জন্য আমলাতন্ত্রের ওপর বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে এমন সমালোচনা হচ্ছে সরকারের বিরুদ্ধে।

বিশ্লেষকেরা বলছেন যে, সরকার ক্রমশ বিভিন্ন বিষয় থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে, বা তাদেরকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। চারটি ক্ষেত্রে এরকম বিচ্ছিন্নতার বিষয়টি বিশ্লেষকরা খুঁজে বের করেছেন। এই বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে,

১. রাজনৈতিক বিচ্ছিন্নতা: আওয়ামী লীগ দেশের প্রধান রাজনৈতিক সংগঠন। সবচেয়ে প্রাচীনতম রাজনৈতিক সংগঠন। আর ৭৫ পরবর্তী পর্যায় থেকে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ধারা হলো মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে একত্রিত করে রাজনীতি করা। এজন্যই আওয়ামী লীগ এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময় ১৫ দলীয় জোট গঠন করেছিলো। পরবর্তীতে তা ৮ দলীয় জোট হয়। দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ বাম গণতান্ত্রিক এবং উদারনৈতিক রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের একটি ১৪ দলীয় মোর্চা গঠন করেছে। কিন্তু ২০১৮ তে নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগ একলা চলো নীতি অনুসরণ করে চলেছে। এখন হেফাজতকে মোকাবেলার সময় আওয়ামী লীগ একক শক্তিতে এগুতে চাইছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে, হেফাজতের বিরুদ্ধে লড়তে গেলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোকে একত্রিত করতে হবে। আর এ ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ এখনও বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। বিশেষ করে তার সহমর্মী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আগের মত উষ্ণ সম্পর্ক আওয়ামী লীগের নেই এমনটি মনে করছেন সমালোচকরা।

২. বিশেষজ্ঞ বিচ্ছিন্নতা: আওয়ামী লীগ সরকারের দ্বিতীয় মাথাব্যথার বিষয় হলো করোনা মোকাবেলা করা। করোনা মোকাবেলা করতে গেলে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেয়াটা জরুরি বলে মনে করেন সকলেই। বিশেষ করে বাংলাদেশে বেশ কিছু জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ রয়েছেন, যারা এই সংকট নিরসনে সরকারকে ভালো সহযোগিতা করতে পারেন কিন্তু তাদের পরামর্শ নেয়া হচ্ছে না। বরং সরকার আমলাদের ওপর ভর করে করোনা মোকাবেলা করতে চাচ্ছেন। বিশ্লেষক মনে করছেন যে, করোনা একটি স্বাস্থ্যগত ব্যাধি। এটাকে মোকাবেলা করতে গেলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদেরকে পাশে নিতেই হবে। সেটি না নিয়ে বরং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে এক ধরনের দূরত্ব এবং বিচ্ছিন্নতা তৈরি হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। 

৩. সুশীল সমাজের সাথে বিচ্ছিন্নতা: সুশীল সমাজের সাথে আওয়ামী লীগের দূরত্ব বেশ কিছুদিন ধরেই। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন করোনা মোকাবিলার ক্ষেত্রে এবং হেফাজতকে মোকাবেলা করার ক্ষেত্রে সুশীল সমাজকে পাশে রাখা দরকার। বিশেষ করে তাদের মতামতগুলো যেন সরকারের কর্মকৌশলের প্রতিফলিত হয় তাহলে জনগণ উপকৃত হবে এবং সরকারের জন্য সংকট নিরসন সহজ হবে। কিন্তু সুশীল সমাজের সঙ্গে এক ধরনের বিচ্ছিন্নতা তৈরি হয়েছে। এই বিচ্ছিন্নতাও কাটানোর প্রয়োজন বলে অনেকে মনে করছেন। 

৪. জনবিচ্ছিন্নতা: সম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে জনবিচ্ছিন্নতা। বিশেষ করে করোনা মোকাবেলায় সরকার সম্প্রতি যে লকডাউন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন তাকে সাধারণ মানুষ রীতিমতো প্রত্যাখ্যান করেছে। এই লকডাউনের বিভিন্ন বিধিনিষেধের প্রতিবাদে প্রতিদিন বিভিন্ন রকম মিছিল সমাবেশ হচ্ছে। সরকারকে আরও জনবান্ধব হতে হবে যেমনটি গত ১২ বছর সরকার ছিল, এমনটি মনে করেন বিশ্লেষকরা। জনবিচ্ছিন্ন হলে সরকারই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আর তাই এই প্রধান দুই সংকট মোকাবেলায় সবাইকে সাথে নিয়ে সরকারকে কৌশল প্রণয়ন করতে হবে এবং সমাধানের পথ খুঁজতে হবে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষক মহল।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লাইসেন্সবিহীন টিভি চ্যানেল বন্ধে কার্যক্রম শুরু

প্রকাশ: ১২:৫৯ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

অবৈধভাবে দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেল প্রদর্শন ও লাইসেন্সবিহীন বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা বন্ধে কার্যক্রম শুরু করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

সোমবার (৬ মে) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

এর আগে, গত (২ মে) তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের সভাপতিত্বে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাথে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সংক্রান্ত দশটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

সিদ্ধান্তগুলো হলো..

১) কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর অধীনে অনুমোদিত সেবা প্রদানকারীরাই সরকার অনুমোদিত দেশি ও বিদেশি চ্যানেলসমূহ গ্রাহকের নিকট বিতরণ করতে পারবে।

২) ক্লিনফিড ছাড়া বিদেশি চ্যানেল কিংবা অননুমোদিত কোনো চ্যানেল ডাউনলিংক, সম্প্রচার, সঞ্চালন বা বিতরণ করা যাবে না।

৩) সেট-টপ বক্স অবৈধভাবে আমদানি ও বাজারজাত করা যাবে না।

৪) টিভি চ্যানেল স্ট্রিমিংয়ের অ্যাপসসমূহ ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করে প্রচারণা করা কিংবা এ ধরনের অ্যাপস সেট-টপ-বক্সে ইনস্টল করে বিক্রি করা সম্পূর্ণরূপে অবৈধ। এর বিরুদ্ধে বিটিআরসি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৫) বাংলাদেশের নিরাপত্তার স্বার্থে, সরকারের রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির স্বার্থে, বিদেশে অর্থ পাচার রোধে এবং দেশের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে যেকোনো অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় প্রচলিত আইন ও বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

৬) কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩(১) ধারা অনুযায়ী, কোনো ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী নির্ধারিত আবেদনপত্রের ভিত্তিতে সরকার অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতীত অন্য কোনও চ্যানেল বাংলাদেশে ডাউনলিংক, বিপণন, সঞ্চালন বা সম্প্রচার করতে পারবে না। এছাড়া, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় হতে বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান ক্লিনফিড সম্প্রচারের বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেছে বিধায় কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ক্লিনফিড ব্যতীত বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না।

৭) কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩(২) ধারা অনুযায়ী, কোনও ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী সরকার অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতীত নিজস্ব কোনও অনুষ্ঠান যেমন- ভিডিও, ভিসিডি, ডিভিডি এর মাধ্যমে অথবা অন্য কোনও উপায়ে কোনও চ্যানেল বাংলাদেশে বিপণন, সঞ্চালন ও সম্প্রচার করতে পারবে না। আইন অমান্য করে কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দেশি বা বিদেশি টিভি চ্যানেলের ফিড বা নিজস্ব কোনও চ্যানেল সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না।

৮) কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৪(১) ধারা অনুযায়ী, লাইসেন্সপ্রাপ্ত না হয়ে কোনও ব্যক্তি, ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না। তাই লাইসেন্সধারী ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী ব্যতীত অন্য কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান টিভি চ্যানেল বা অনুষ্ঠান সঞ্চালন বা সম্প্রচার করতে পারবে না।

৯) অনুমোদিত ডিস্ট্রিবিউটররা এ সিদ্ধান্তসমূহ তাদের বিদেশি টিভি চ্যানেল সম্প্রচারকারীদের লিখিতভাবে অবহিত করবে।

১০) আইন/নীতিমালা বহির্ভূত, অবৈধ বা অননুমোদিতভাবে সম্প্রচার কাজে জড়িত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নে গত বৃহস্পতিবার (২ মে) সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের চিঠি দিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।


তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়   লাইসেন্সবিহীন   টিভি চ্যানেল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে: ফায়ার সার্ভিস

প্রকাশ: ১২:২১ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

পূর্ব সুন্দরবনের লতিফের সিলা এলাকায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সোমবার (০৬ মে) সকালে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক অপারেশন ও মেইনটেনেন্স লে. কর্নেল তাজুল ইসলাম আনুষ্ঠানিকভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণের ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, বেলা ১০টা ৩৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। গতকাল রবিবার (০৫ মে) সকাল ৬টা থেকে টানা ২৮ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী, বনবিভাগ, বিমানবাহিনী ও স্থানীয় শতশত স্বেচ্ছাসেবক।

শনিবার (৪ মে) দুপুরে আমরবুনিয়া ফরেস্ট ক্যাম্পের অধীন লতিফের সিলা এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের খবর পান বন বিভাগের কর্মকর্তারা।

নৌবাহিনীর কর্মকর্তা কমান্ডার মো. বাশারুল ইসলাম, চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক(এসিএফ) রানা দেব, মোরেলগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো৷ আশিকুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম তারেক সুলতান, থানার ওসি মোহাম্মদ সামসুদ্দীন এ সময় উপস্থিত ছিলেন। 

ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক আরও বলেন, আগুন এখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। কোথাও আগুনোর ফুলকি বা ধোঁয়া নেই। তবে, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আরও ২ দিন কাজ করবে কালো ছাই সাদা করার জন্য। এরপর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বন ত্যাগ করবে।


সুন্দরবন   আগুন   ফায়ার সার্ভিস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ব্রিজ আছে, নেই সংযোগ সড়ক

প্রকাশ: ১২:০৪ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail চারদিকে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ, মাঝখানে ঠাই দাড়িয়ে আছে সংযোগ সড়কহীন ব্রীজ

চারপাশে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ। মাঝখানে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে একটি ব্রিজ। ব্রিজের ওপর ওঠার জন্য নেই কোনো সংযোগ সড়ক। নির্মাণের এক যুগ পরও সংযোগ সড়ক নির্মিত না হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে হাজার হাজার মানুষকে।

 

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার নলকা ইউনিয়নের গাড়-দহ ও বোয়ালিয়ার চর খালের উপর ২০১২-১৩ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে প্রায় ৭৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ব্রিজের নির্মাণ হলেও হয়নি সংযোগ সড়ক। ফলে ব্রিজের ওপর দিয়ে কোনো ধরনের যানবাহন ও মানুষ চলাচল করতে পারে না। গাড়-দহ ও বোয়ালিয়ার চর গ্রামের মানুষ এ ব্রিজের ওপর দিয়ে না গিয়ে নিচের জমির ওপর দিয়ে তৈরি একটি সরু রাস্তা দিয়ে চলাচল করেন। আর বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটি ডুবে গেলে নৌকা দিয়ে চলাচল করেন।


আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সভা আজ

 

এরান্দহ গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হাই অভিযোগ করে বলেন, ব্রিজটি নির্মাণ করলেও জনগণের কোনো উপকারে আসছে না। অবিলম্বে সেতুর দুই পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে মানুষের চলাচল উপযোগী করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানান তিনি।

 

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার নলকা ইউনিয়নের এরান্দহ, বোয়ালিয়ার চর, কাঁঠালবাড়ীয়া সহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করেন।

 

ওই এলাকার আব্দুল আলীম নামের স্থানীয় এক মুদির দোকানদার বলেন, সেতুর সঙ্গে কোনো রাস্তা না থাকায় বাজার থেকে দোকানের মালামাল সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে নেওয়া যায় না। মাথায় করে বাড়িতে আনতে হয়।


আরও পড়ুন: আন্দোলন ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে সরকার

 

স্থানীয় বোয়ালিয়ার চর সরকারি বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকরা জানান, তারা প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে স্কুলে যান। এই ব্রিজে সংযোগ সড়ক না থাকায় বিকল্প রাস্তায় চলাচল করতে হয়। এতে প্রায় ৭/৮ কিলোমিটার রাস্তা বেশি অতিক্রম করতে হয়।

 

নলকা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, জনগণের জন্য ব্রিজটি নির্মাণ করা হলেও সংযোগ সড়ক না থাকায় মানুষ সুফল পাচ্ছেন না।'

 

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা গোলাম রব্বানী বলেন, এ বছর বরাদ্দ দিয়ে সেতুটির এপ্রোজের মাটি ভরাট করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান বলেন, ত্রাণের অধিকাংশ সেতুর এপ্রোজের মাটি নেই। সেতুর তালিকা করে বরাদ্দ দিয়ে অচিরেই মাটি ভরাট করা হবে। বোয়ালিয়ার চর খালের উপর নির্মিত সেতুটি লোকজনের যাতায়াতের জন্য জরুরি। এ ব্যাপারে অচিরেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


ব্রিজ   সংযোগ সড়ক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বাউবি উপাচার্যের সাক্ষাৎ

প্রকাশ: ১১:৪৬ এএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাষ্ট্রপতি এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) চ্যান্সেলর মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে বঙ্গভবনে এক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাউবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার। 

বাউবির তথ্য ও গণসংযোগ বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. আ.ফ.ম. মেজবাহ উদ্দিন রবিবার (০৫ মে) রাতে এই তথ্য জানান।

সাক্ষাৎকালে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবনী ও কর্মমূখী শিক্ষা কার্যক্রম, শিক্ষার্থী বান্ধব প্রযুক্তি সহায়তা, বহিঃবাংলাদেশে বাউবির প্রসারসহ সার্বিক অগ্রগতি তুলে ধরেন। 

এসময় রাষ্ট্রপতিকে উপাচার্য বাউবির নতুন লোগো, ক্রেস্ট, বার্ষিক প্রতিবেদন, পরিক্রমা, ডায়েরি ও ক্যালেন্ডার তার হাতে তুলে দেন। 

রাষ্ট্রপতি উপাচার্যের বিভিন্ন কথা গুরুত্ব সহকারে শোনেন এবং আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে দিক নির্দেশনা দেন।


রাষ্ট্রপতি   বাউবি   উপাচার্য   সাক্ষাৎ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ছেলেকে বাঁচাতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারাল বাবা

প্রকাশ: ১১:২৭ এএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

শেরপুরের নকলার পিপড়ি গ্রামে আব্দুর রহমান পচন (৫৫) নামের এক কৃষক ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন। রবিবার (৫ মে) দুপুরে এ ঘটনাটি ঘটে। এঘটনায় নিহত আব্দুর রহমান পচন উপজেলার পাঠাকাটা ইউনিয়নের পিপড়ি গ্রামের মৃত জনাব আলীর ছেলে।

 

জানা গেছে, পিপড়ি গ্রামের নিহত আব্দুর রহমান পচনের ছেলে মোখলেসুর রহমান তার ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চার্জ দিয়েছিলো। এতে অটোরিকশাটি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যায়। মোখলেসুর রহমান অটোরিকশাটি বের করতে গেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়ে সে। বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে। ছেলের আহত অবস্থা দেখে তাকে হাসপাতালে নেয়ার জন্য বাবা আব্দুর রহমান পচন ওই অটোরিকশা বের করতে গেলে তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যায়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পিতা পুত্রকে  নকলা উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পচনকে মৃত ঘোষণা করেন এবং ছেলে মোখলেসকে শেরপুর জেলা হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।


নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল কাদের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহত আব্দুর রহমান পচনের পরিবারের পক্ষ থেকে তার লাশ বিনা ময়নাতদন্তে দাফনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তীতে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। 


বিদ্যুৎস্পৃষ্ট   অটোরিকশা   চার্জ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন